বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:০০ পূর্বাহ্ন
আরিফ হোসেন, বাবুগঞ্জ ॥ “সন্ধ্যা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে ভাঙ্গণ ঠেকানো সম্ভব হবে না। যদি আপনাদের এখানে কেউ অবৈধ ভাবে বালু উত্তলন করে থাকে আপনাদেরই তা প্রতিরোধ করতে হবে। বালু মহল ইজারাদাররা তার সীমানার বাইরে গিয়ে অথবা নির্দিষ্ট করে দেওয়া নিয়মের বাইরে বালু উত্তোলন করলে আমাদের জানাবেন আমরা ব্যবস্থা নেব”।
মঙ্গলবার বিকালে বরিশালের বাবুগঞ্জের সন্ধ্যা নদীর ভাঙ্গণে বিলিন হওয়া মোল্লার হাট এলাকা পরিদর্শন ও ভাঙ্গনকবলিত পরিবারের মধ্যে নগদ অর্থ বিতরণকালে জেলা প্রশাসক এস. এম অজিয়র রহমান এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরো বলেন, “প্রাকৃতিক দূর্যোগে ধৈর্য ধারণ করতে হয়। আপনাদের ভেঙ্গে পরলে চলবে না। সরকারের পক্ষ থেকে যথা সম্ভব সব ধরনের সহযোগীতা অব্যাহত থাকবে। তবে প্রকৃত ভাঙ্গণ কবলিতদের বাদ দিয়ে যেন বিশেষ কাউকে সুবিধা দেওয়া না হয়। এ ব্যাপারে জনপ্রতিনিধিদের যাচাই করে তালিকা করতে হবে। অন্যথায় অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে”।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আল-মামুন তালুকদার, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন নানা, উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী ইমদাদুল হক দুলাল, জেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন এর ডিআরআরও আব্দুল লতিফ, প্রভেসন অফিসার সাজ্জাদ পারভেজ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(অতিরিক্ত দাঃ) নুসরাত জাহান, জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শুভ্রত বিশ^াস দাস, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন আরিফুর রহমান, সমাজ সেবা অফিসার মাহমুল হাসিব, কেদারপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুরে-আলম বেপারি, ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম মাসুম মৃধা, ইউপি সদস্য রোকোনুজ্জামান, লাভলু, লালমতি বেগম, আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
উল্লেখ্য অভিযোগ উঠেছে বাবুগঞ্জের কেদারপুর ইউনিয়নের সন্ধ্যানদী তীরবর্তী এলাকায় বালু উত্তোলনের কারনেই হঠাৎ করেই কয়েকটি বাড়ি-ঘর দেবে যায়। এখনও ওই এলাকায় বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে। প্রভাবশালীরা জড়িত থাকায় এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা মুখ খুলতে পারছে না।
Leave a Reply